আজ পবিত্র জুমার দিন ছিল। জুমার নামাজ আদায় করে নিকট এক আত্মীয়ের বাড়িতে মেজবান খেতে গেলাম। দেখলাম বেশ কয়েকশত মানুষ। তৃপ্তির সাথে গরুর মাংস ভক্ষণ করছে। কিন্তু প্যান্ডেলের পাশে একপাল কুকুর বিরক্তিকর ভাবে শোর চিৎকার করছে।

প্রথমে মনে করেছিলাম ভাদ্রমাস কুকুরের প্রজনন মাস, তাই মিলনের আশায় একসাথে জড়ো হয়ে এমনটা করছে। পরে দেখলাম উল্টো চিত্র। কুকুর গুলো ক্ষুধার্ত। তাই ক্ষুধার জ্বালায় এমন আর্তনাদ করছে। এমন অবস্থা দেখে ডেকোরেশন এর একজন বয়স্ক স্টাফ কিছু উচ্ছিষ্ট হাড় গুড় এনে ক্ষুধার্ত কুকুরের পালের দিকে ছুড়ে মারলো।তখন কুকুরের পাল শান্ত হয়ে উচ্ছিষ্ট হাড়-মাংস নিয়ে নিরবে ভক্ষণ শুরু করলো। তখন কুকুর গুলো স্বাভাবিক আচরণ করতে লাগলো। অবস্থা দেখে মনে হলো পালিত কুকুরকেও খাবার দিতে ভুল করলে এমনই আচরণ করে। প্রবীণ এক রাজনৈতিক ব্যাক্তি নিজ দল ছেড়ে নিজে একটি নতুন দল গঠন করে। উল্টোপাল্টা বক্তব্য শুরু করলে তার পুরানো এক নেতা আক্ষেপ করে বলতে শুনেছিলাম ” এসব মাংস বঞ্চিত কুকুরের আর্তনাদ শুনে কোন লাভ নেই “।

সব কথার শেষ কথা বিএনপির এক সময়ের স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য, সাবেক মন্ত্রী মরহুম তানভীর আহমদ ছিদ্দিকী একটি উক্তি বার বার মনে পড়ে- খায়া পিয়া ভাগ গিয়া, নেহি হায়া নেহি পিয়া মগর ফাঁস গেয়া।

– মাহমুদুর রহমান মাহমুদ